মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবরিনা-আরিফকে ৩০০ কোটি টাকার কাজ দিতে চেয়েছিলেন এক আমলা

ডেস্ক নিউজঃ করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাদের ৩০০ কোটি টাকার কাজ দিতে চেয়েছিলেন একজন আমলা। তবে সম্প্রতি ঐ আমলা বদলি হয়ে গেছেন। বৈধ অনুমতি পেয়েও টাকার লোভে করোনার নমুনা পরীক্ষায় ভুয়া টেস্ট শুরু করেছিল জেকেজি। প্রতিষ্ঠানটি করোনার ১৫ হাজার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে। আরিফুল হক চৌধুরী এবং ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চলে এমন অপকর্ম। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এটি স্বীকার করেছেন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে এই দম্পতি বলেন, সম্প্রতি ৩০০ কোটি টাকার কাজ দিতে চেয়েছিলেন একজন আমলা। ঐ টাকার ভাগ কে কত পাবে বৈঠকে তাও চূড়ান্ত হয়। সম্প্রতি ঐ আমলা বদলি হয়ে গেছেন।

মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর ম্যানেজ করে কাজ ভাগিয়ে নিতেন সাবরিনা-আরিফ। তবে অপকর্ম ফাঁস হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়ে এই দম্পতি এখন ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে তাদের অপকর্মের নানা তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ ও সাবরিনা স্বীকার করেছেন, করোনার ভুয়া টেস্ট ও ভুয়া সনদ বিক্রি করে তারা কয়েক কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। টাকার অঙ্ক সম্পর্কে অবশ্য তারা একেক সময়ে একেক তথ্য দিচ্ছেন। তবে দুই জনই স্বীকার করেছেন। সন্দেহ এড়াতে টাকাগুলো তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখেননি। জেকেজির কর্মীদের খরচ মিটিয়ে অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকা নগদ আকারে পূর্বপরিচিত কয়েক জনের কাছে রেখেছেন তারা। বেশি টাকা নিয়ে নেন আরিফ। এই টাকার ভাগ নিয়ে মূলত সাবরিনা ও আরিফের মধ্যে দ্বন্দ্ব।

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী তার ফেসভ্যালু পুঁজি করে সুবিধা নিয়েছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গায় যে তার পরিচিতি রয়েছে সেটা দিয়েই তিনি প্রতারণা করেছেন।

এই বিভাগের আরো খবর